মো: আবু বকর সিদ্দিক বক্কর,আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি ও জাতীয় শোক দিবসসহ সব জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধা জানানোর নিয়ম-কানুন সংক্রান্ত নির্দেশ সরকারী প্রজ্ঞাপনে দেওয়া হয়ে থাকে। এবারের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনেও প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভা পরিষদের আয়োজনে সাধারণ শোক ব্যানার এবং প্রতিষ্ঠানের সামনে ড্রপ ডাউন ব্যানার দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু জাতীয় দিবসে বগুড়ার সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ সে নির্দেশ পালন করেনি। এনিয়ে সরকার দলীয় নেতা ও কর্মী-সমর্থক এবং সচেতন মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে পোস্ট দিয়ে সমালোচনা করতে থাকেন। এর প্রেক্ষিতে বাধ্য হয়ে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা ওরফে তৃপ্তি শোক দিবসের পরের দিন মঙ্গলবার দুপুর পৌনে একটার দিকে শোক জানানোর সাধারণ ও ড্রপ ডাউন ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে টাঙ্গানো দুই ব্যানারে দেখা মেলে চরম অশ্রদ্ধার আলামত। সাধারণ ব্যানার ও ড্রপ ডাউন ব্যানারে শহীদদের স্থলে ‘শহিদের’ লেখা রয়েছে। এদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য দেওয়ার ফটো সেশনের দুই ছবিতে দেখা যায় চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি বাম হাত ব্যবহার করেছেন আর তাঁর ডান হাতে রয়েছে পার্শ। শোক দিবসের সাধারণ ও ড্রপ ডাউন ব্যানার দেওয়ার ব্যাপারে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা ওরফে তৃপ্তির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতিকে নির্বাচন করে এই ইউনিয়নের প্রথম নারী চেয়ারম্যান হয়েছি। সরকার দলীয় চেয়ারম্যান হিসাবে সরকারের সকল জাতীয় দিবস যথাযথ ভাবে পালনের নির্দেশ মানতে বাধ্য। কিন্তু আমি নতুন হিসাবে অনেক কিছু জানি না। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে বার বার জিজ্ঞেস করেছি। সচিব বলেছেন এরকম কোন নির্দেশ নাই। সচিবকে বিশ্বাস করার কারনে ভুল হয়ে গেছে। তবে বিষয়টি জানার পর সাধারণ ও ড্রপ ডাউন ব্যানার টাঙ্গিয়েছি। এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায়ের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে ড্রপ ডাউন ব্যানার দেওয়ার সরকারি নির্দেশ আমার নজরে পড়েনি।