সাহাদত জামান: বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে একজন ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। পেটের অনাগত সন্তানের পিতার স্বীকৃতির জন্য ঘুরছে দ্বারে দ্বারে। কোর্টে মামলা দায়ের।
এলাকাবাসীর একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কর্ণিবাড়ী ইউপির শোনপঁচা চরের শোনপঁচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। তারা জানান, শোনপঁচা পশ্চিম আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে শাহাদৎ হোসেন প্রাং এর সাথে ঐ শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের বাড়ী একই গ্রামের পাশাপাশি। কয়েকদিন আগে শাহাদৎ এর বিয়ে ঠিক হয় দিনাজপুরের রানীশংকৈল উপজেলার অন্য একজন মেয়ের সাথে। বিষয়টি ঐ শিক্ষার্থী বুঝতে পেরে তাদের আত্মীয়স্বজনদের কাছে শাহাদৎ এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক এবং অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি পরিষ্কার করে। ফলে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি বিষয়টি ধামাচাপা দিতে শাহাদৎ এর পরিবার নানা ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন।
ঐ শিক্ষার্থীর বড় বোন সামিয়া খাতুন বলেন, আমার ছোট বোন শাহাদৎ এর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক এবং তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি আমার কাছে নিশ্চিত করেছে।
অন্তঃসত্ত্বা ঐ শিক্ষার্থী বলেন, শাহাদৎ এর সাথে আমার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। তার মাধ্যমে আমি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছি। এখন শাহাদৎ আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে না। শাহাদৎ অন্য মেয়েকে বিয়ে করার জন্য বিয়েও ঠিক করেছিল। আমি সেই মেয়ের নানাকে আমাদের সম্পর্কের বিষয়টি বলে দেই। পরে ঐ বিয়েটি কোনরকম স্হগিত হয়। এখন শাহাদৎ আমাকে বিয়ের নামে নানা ধরনের তালবাহানা করছে। আত্মহত্যা ছাড়া আমার কোন পথ খোলা নাই।
শাহাদৎ এর মা সালেহা বেগম বলেন, যেহেতু আমার ছেলে একটি অঘটন ঘটিয়েছে, তাই ঐ মেয়ের সাথে আমি আমার ছেলের বিয়ে দিতে রাজি আছি।
শিক্ষার্থীর দুলাভাই শহিদুল হোসেন বলেন, শাহাদৎ ধর্ষণ মামলা হতে বাঁচতে আমার শালীকে নামেমাত্র বিয়ে করতে চায়েছিল। বিয়েতে সে নাকফুল শাড়ি কিছুই কিনেনি। যেহেতু শাহাদৎ বিয়ের নামে নানা ধরনের তালবাহানা শুরু করেছে, তাই আমি এখন আইনের আশ্রয় নিয়েছি। শাহাদৎ এর নামে বগুড়া জর্জ কোর্টে বুধবার সকালে শিশু ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছি।
সংশ্লিষ্ট ইউপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন দিপন বলেন, যেহেতু বিষয়টি এখন আদালতে গিয়েছে, তাই আদালতের মাধ্যমেই এর একটা সমাধান হবে।